সার ব্যবস্থাপনা

ভাল ফলনের জন্য সুষম সার ক্ষেতে প্রয়োগ করুন।

  • সার প্রয়োগের দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

প্রথমত: আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতার মান যাচাই এবং ধানের জাত, জীবন কাল, উৎপাদন মৌসুম ও ফলনের মাত্রা।

দ্বিতীয়ত : সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কোন সার কখন এবং কিভাবে প্রয়োগ করবেন।

ধানের মৌসুম অনুযায়ী সারের মাত্রা (কেজি/একর):

বোরো : শেষ চাষের সময়

ইউরিয়া: ৩০-৪০ কেজি, টি এস পি: ৫০ কেজি, পটাশ: ৬০ কেজি, জিপসাম: ৩৫ কেজি, গ্রোজিন (জিংক সালফেট): ৩ কেজি, ম্যাগমা (ম্যাগনেসিয়াম সালফেট): ৬ কেজি, বিংগো (বোরন): ১ কেজি।

ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ

চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর ৩০-৪০ কেজি

চারা রোপনের ৩০-৩৫ দিন পর ৩০-৪০ কেজি

চারা রোপনের ৪৫-৫০ দিন পর ৩০-৪০ কেজি

  • জৈব সার যেমন ধৈঞ্চা বা ডাল জাতীয় ফসল, গোবর বা পচা আবর্জনা ব্যবহার করলে ইউরিয়া সার ৩০-৪০% কম লাগে।
  • প্রথম দিকের কুশি গজানোর সময় ইউরিয়া সার ব্যবহারে কার্যকর কুশীর সংখ্যা বাড়ায়।
  • সর্বোচ্চ কুশি উৎপাদন থেকে কাইচথোর আসা পর্যন্ত পরিমিত নাইট্রোজেন প্রতি ছড়ায় পুষ্ট ধানের সংখ্যা বাড়ায়।
  • ফুল আসার পর পরিমিত নাইট্রোজেন ধানের দানা পুষ্ট করে ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।